শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘এসএসসি ব্যাচ ২০১৬’-এর প্রথম পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয় গত বছরের ২৮ এপ্রিল। ওই পুনর্মিলনীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের কথা ছিল গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের। এজন্য তিনি এক লাখ ৭৫ হাজার টাকার মৌখিক চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী তাকে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেয়া হয়। কিন্তু তিনি নির্ধারিত দিনে সেখানে গান গাইতে যাননি। পরে অভিযোগ ওঠে, অনুষ্ঠানে গান না গেয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন নোবেল।
এ ঘটনায় ওই এসএসসি ব্যাচের প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে গত বছরের ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় প্রতারণার অভিযোগ এনে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৭ মে আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় নোবেলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরির আদালতে নোবলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের লালবাগ জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির।